ইন্টারভিউ দিতে গেলে যা জানা জরুরি

 আমাকে চাকরি করতে হলে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতেই হবে হোক সেটা ছোট কিংবা বড় চাকরি। দিন দিন চাকরির বাজার সংকোচিত হচ্ছে কিন্তু একই সময়ে অহরহ করে বাড়ছে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা। আমাকে চাকরি পেতে হলে অবশ্যই এই প্রতিযোগিতামুলক বাজারে প্রতিযোগিদের পেছনে ফেলে নিজের প্রাপ্য চাকরি বুঝে নেয়া।আমাকে কেউ দয়া করে চাকরি দিবেনা কারন প্রত্যেকটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান চায় তাদের উন্নয়ন বা অগ্রগতি ঘটুক তবে তারা দয়ায় বা অদক্ষ শ্রমিক কেন নিয়োগ দিবে? বুঝতেই পারতেছেন যে চাকরির বাজারে ঠিকে থাকা কতটা কঠিন।

ধরে নিলাম কোন একটা কোম্পানি তাদের কোম্পানির নতুন জনবল নিয়োগ দিয়েছেন এখানে পদের সংখ্যা আছে ১০ টি কিন্তু দেখা গেল যে আবেদন জমা হয়েছে প্রায় ১০০০টি। সংখ্যা দেখে বিব্রত হওয়ার কোন কারণ নেই যারা ইন্টারভিউ দেন বা দিয়েছেন তারা ভালো করেই জানেন। আমার মতো ১০০০ জনের সবারই সমান যোগ্যতা রয়েছে কিন্তু আমাকেই তারা কেন চাকরি দিবে?চাকরি সোনার হরিণ এটাকে পাওয়া বড়ই কঠিন।

আমি চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিবো মানেই চাকরি টা আমার এমন কনফিডেন্ট থাকা দরকার চাকরি পাওয়ার জন্য। এখন আসি ইন্টারভিউ যারা নিবেন তারা আপনার কাছ থেকে কি জানতে চাইবেন আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসব কিছু না তারা আপনাকে কেন হায়ার করবে সেটা তারা জিজ্ঞেস করবে।আসুন এবার জেনে নিই কেমন ধরনের প্রশ্ন হতে পারে আমার জন্য ইন্টারভিউ এ-

সাধারণ কিছু ফর্মালিটি প্রশ্ন করবেন আমাকে প্রথমে সেটা আমি জানি যেমন-
আমার নাম কি, আমার নিজের সম্পর্কে বলতে বলবে,আর এটাও বলবে যে আপনি আমাদের কোম্পানিকেই কেন বেছে নিয়েছেন চাকরি জন্য যেখনে আরো ভালো কোম্পানি রয়েছে? আর বলবে আমাকে কেন তারা তাদের কোম্পানিতে নিয়োগ করবে যেখানে আমার মত আরো ১০০০ জন ব্যক্তি রয়েছে। অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে আমার চাকরি পাওয়াটা কেন বেশি সহজ আমার মাঝে এমন স্পেশাল কি আছে ইত্যাদি।

প্রশ্নগুলোর উত্তর পরে দিচ্ছি আগে এটা বলে নেওয়া জরুরি যে ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে কিছু পূর্ব কাজ রয়েছে এগুলো হলো পার্সোনাল হায়েজিন,গ্রুমিং এবং কোম্পানি সম্পর্কে জানা যে কোম্পানির ইন্টারভিউ আমি দিতে যাবো সেই কোম্পানির। তারা একটা নির্দিষ্ট সময় পরে আমার ইন্টারভিউ নিবে তাইতো এই সময় দেওয়ার মানে হলো নিজেকে তৈরি করা ঐ কোম্পানির জন্য। আমার এসব কাজ গুলো আগে কমপ্লিট না হলে
ইন্টারভিউ এ ঠিকে থাকা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
এখন একটি কাল্পনিক পদের ইন্টারভিউ মনে করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শুরু করি তারা কেন আমাকেই বেছে নিবে সবার মধ্যে থেকে।

পদের নামঃজেনারেল ম্যানেজার।
যথারীতি আমার বললাম আমি মোঃআরমান জিহাদ।
আমার পরিচয় হয়ে গেলো এখন মূল জায়গায় আমাকে আসতে হবে।
নিজের সম্পর্কে যখন বলবো তখন আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ আরো আমার যত অর্জন আছে এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত সেগুলো ও বলবো।
এখন আমাকে যে কারণে এই পদে নির্বাচন করবেন
তার কিছু পয়েন্ট নিচে তুলে ধরলাম তবে ব্যাখ্যা করতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন তাই করছিনা।
★ক্রিয়েটিভিটি/সৃজনশীলতা
★গঠন ক্ষমতা
★নতুন কিছু করার গ্যেন
★কথা এবং কাজে মিল
★নিজেকে অন্যের সামনে উপস্থাপনের ক্ষমতা
★কাজের তারল্যতা
★কাজের বহুমুখীতা
★সংস্কারের দক্ষতা
ইত্যাদি দিক গুলো আমার মাঝে আছে তাই আমাকে নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

আরো কিছু কথা না বললেই নয় তারা যখন আমার ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকার নিবেন তখন তারা একাধিক ব্যক্তি থাকবেন সেখানে তাই তারা আমার প্রত্যেকটি কথাসহ আচার-আচরণ এবং প্রেজেন্টেশন মনিটরিং করবেন। এসব দিকগুলো থেকে আমাকে পাশ করতে হলে অবশ্যই শারীরিক আচার-আচরণের দিক মাথায় রাখতে হবে। কোন গুলো রাখবো এগুলো নিচে পয়েন্ট আকারে লিখে দিচ্ছি -
★ আই কন্টাক্ট বা চোখে চোখ রেখে কথা বলা।
★হাত খোলা রেখে কথা বলা।
★হাসি মুখে কথা বলা।
★ যে ভাষাতেই ইন্টারভিউ হোক না কেন উচ্চারণ হতে হবে সাবলীল।
★আত্মবিশ্বাসী হয়ে কথা বলা বা উত্তর দেয়া ইত্যাদি।
এসব দিক গুলো অনেক বেশি বিবেচনায় নেয় একজন ইন্টারভিউয়ার।

এগুলো সব মেইনটেইন করতে পারলে চাকরি টা আমার তা হলে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হবেনা।
জানিনা আমি কতটুকু ভালো করতে পেরেছি এই প্রেজেন্টেশনে কিন্তু আপনারা আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না। আপনার একটি মতামত আমার একেকটি শিক্ষা। আমার ভুল গুলো ধরিয়ে দিন যেন পরবর্তীতে আর ভুল না করি।
ধন্যবাদ প্রিয় রাজিব আহমেদ স্যারকে যিনি আমাকে আমার নিজের দক্ষতা বাড়াতে এই টপিক টা দিয়েছেন।


Post a Comment

0 Comments